বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেউ কেউ ক্যাম্পাসে ‘ফ্যাসিবাদ রক্ষীবাহিনীর মত’ আচরণ করছেন বলে অভিযোগ তুলেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল।
রোববার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, “বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কতিপয় সন্ত্রাসী রক্ষীবাহিনীর মত সন্ত্রাস ও দখলদারত্ব কায়েম ।
“তারা বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের কর্মীদের মবের ভয়ভীতি দেখিয়ে ফ্যাসিবাদ রক্ষীবাহিনী ছাত্রলীগ স্টাইলে সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি করছে।”
ছাত্রদল কর্মী ও প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজের হত্যার নিন্দা জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেন রাকিব।
তিনি বলেন, “ক্যাম্পাস তো বটেই, ক্যাম্পাসের বাইরেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের কার্যক্রম চালাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, যা গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার লঙ্ঘন।
“এটি নতুন নামে সেই পুরাতন ফ্যাসিবাদ রক্ষীবাহিনী। এই চলমান দখলদারত্ব ও সন্ত্রাসই এই হত্যার পেছনে খুনি-সন্ত্রাসীদের সাহস ও মদদ জুগিয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সভাপতি অভিযোগে করেন, “প্রচণ্ড উশৃঙ্খল মেহেরাজ ইসলাম গং বহিরাগতদের ডেকে এনে পারভেজের ওপর পরিকল্পিত হামলা চালায়। এ হামলায় মেহেরাজ ইসলামের সঙ্গে নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক শোভহান নিয়াজ তুষার ও যুগ্ম-সদস্য সচিব হৃদয় মিয়াজী। তাদের সঙ্গে এলাকার বেশকিছু সন্ত্রাসী জড়িত ছিল।
“তারা ছুরি দিয়ে বুকে আঘাত করে পারভেজকে হত্যা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মীমাংসা করে দেওয়ার পর যখন সন্ত্রাসীরা হুমকি-ধমকি দিচ্ছিল, তখন পারভেজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আকুতি জানিয়েছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসন কোনো সহায়তা করেনি।”
ছাত্রদল সভাপতি বলেন, পারভেজের মৃত্যুর ঘটনায় বনানী থানায় মামলা হয়েছে। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, সহসভাপতি এইচএম আবু জাফর, ইজাজুল কবির, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম, যুগ্ম সম্পাদক সারোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র দলের সভাপতি আবু হুরায়রা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল আলম বিন্দু উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের পর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পারভেজের জানাজা হয়। পরে পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে মিছিল করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।