ঈদে দেশের সকল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান টানা ছুটি থাকায় ডেলিভারি কমে যাওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারের জমেছে বেশি।খোজ নিয়ে জানা যায় বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড, টার্মিনাল, জেটিতে কনটেইনার ধারণক্ষমতা ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইইউস (২০ ফুট দৈর্ঘ্য)।
এর বিপরীতে রোববার (১৫ জুন) সকাল আটটায় বন্দরে কনটেইনার ছিল সারে ৪৪ হাজার । গত ৬ জুন কনটেইনার ছিল ৩৯ হাজার ৩০৫ টিইইউস।
১৫ জুন বন্দরের জেটিতে ১১টি কনটেইনার জাহাজে কনটেইনার লোড আনলোড হয়েছে। বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ ছিল ১২টি জাহাজ। খোলাপণ্যবাহী বড় জাহাজ থেকে বহির্নোঙরে ছোট জাহাজে পণ্য খালাস সম্ভব হলেও কনটেইনার জাহাজের ক্ষেত্রে এ সুযোগ নেই। কনটেইনারবাহী জাহাজ জেটিতে এসেই কনটেইনার খালাস এবং লোড করতে হয়। একাজে জাহাজের নিজস্ব ক্রেনের পাশাপাশি দ্রুতগতির নিরাপদ কি গ্যান্ট্রি ক্রেন ব্যবহার করা হয়।
বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, ঈদুল আজহার দিন এক শিফটে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বাকি দিনগুলো ২৪ ঘণ্টা করে সচল ছিল অপারেশনাল কার্যক্রম। কিন্তু ঈদুল আজহার সময় পোশাককারখানা, খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানসহ বেশিরভাগ শিল্প কারখানায় টানা ছুটির কারণে বন্দর থেকে কনটেইনার ডেলিভারি নেওয়া হয়েছে কম।যা ফলে লোড-আনলোড কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলেও ডেলিভারির কনটেইনার ক্রমে বাড়তেই থাকে ক্রমাগত।
বন্দরের পরিবহন বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, ১৫ জুন সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বন্দর থেকে ডেলিভারি হয়েছে ২ হাজার ৪৩৬ কনটেইনার। এ দিন বন্দর থেকে জাহাজে উঠেছে ৩ হাজার ৬৮২ টিইইউস, জাহাজ থেকে নেমেছে ৫ হাজার ২০৬ টিইইউস। মোট হ্যান্ডলিং ৮ হাজার ৮৮৮ টিইইউস। আগের দিন ১৪ জুন ডেলিভারি হয়েছে ১ হাজার ৯৩৫ টিইইউস।
বন্দরের একজন কর্মকর্তা জানান, আমদানিকারক, রপ্তানিকারক, ব্যবসায়ীরা হিসাব নিকাশ করে পণ্য আমদানি রপ্তানি করে থাকেন। তারা ঈদের ছুটির বিষয়টি মাথায় রেখেই আগেভাগে জরুরি পণ্য খালাস নিয়েছেন। ছুটির পর যেহেতু কর্মচাঞ্চল্য শুরু হয়েছে শিল্পকারখানায় তাই ডেলিভারি কার্যক্রম ক্রমাগত হারে বাড়ছে। আশাকরি, বন্দরের দক্ষতা, সক্ষমতা, অটোমেশন এবং বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংস্থা সংগঠনের সহযোগিতায় কনটেইনার জট দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
(ছবি সংগৃহিত)